২০০৭ সালে আইফোন স্মার্টফোনের বাজারে যাত্রা শুরু পর স্মার্টফোন ইন্ডাস্ট্রিতে এক অনন্য বৈপ্লবিক এনেছিল মার্কিন টেক জায়ান্ট আ্যপল। ধারাবাহিক ভাবে বিশ্বকে একের পর এক নতুন ও আধুনিক প্রযুক্তি উপহার দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। প্রতি বছরই নতুন আইফোনের দাম আকাশ চুম্বি হলেও বিশ্বজুড়ে দিকনে দিন বেড়েই চলেছে আইফোন ইউজার বেশ। এরই ধারবাহিকতায় সম্প্রতি গ্লোবালি ১ বিলিয়ন অ্যাক্টিভ আইফোন ইউজারের মাইলফলক স্পর্শ করেছে আ্যপল।
বিশিষ্ট বিশ্লেষক ‘নীল সাইবার্ট’ বিগত ১৩ বছর ধরে আ্যপলের আইফোন লাইনআপকে ট্র্যাক করে এই তথ্য প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, গত মাসেই iPhone 12 সিরিজ লঞ্চ হওয়ার আগেই ১ বিলিয়ন (১০০ কোটি) অ্যাক্টিভ আইফোন ইউজার পেয়েছে আ্যপল। উল্লেখ্য, বিক্রি হওয়া আইফোন এবং অ্যাক্টিভ আইফোন দুটি আলাদা বিষয়। কেননা প্রতি বছরই একাধিক নতুন আইফোন লঞ্চ হয়, এবং পুরোনো আইফোন ইউজাররা সেসব মডেল ছেড়ে নতুন আইফোনে শিফ্ট হন।
২০০৭ সালে আ্যপল যখন প্রথমবারের মতো আইফোন বাজারে আনে তখন অনেকেই এর গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে সন্দিহান ছিলেন। খোদ স্টিভ জবস এরই সেসময় প্রাথমিক লক্ষ্যমাত্রা ছিলো তখনকার স্মার্টফোন মার্কেটের কেবল ১ শতাংশ বাজার দখলে নেওয়া। কিন্তু কে জানতো আজ আইফোনের ব্যাপক চাহিদা আ্যপলকে বিশ্বের সবচেয়ে দামি স্টার্টআপ ব্র্যান্ডে পরিণত করবে। সাইবার্টের মতে, প্রতিবছর ২০ মিলিয়ন থেকে ৩০ মিলিয়ন আইফোন বিক্রি করে নতুন ইউজার যুক্ত করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে আ্যপল। যারা এই ২ ট্রিলিয়ন ডলারের কোম্পানির অবস্থান আরও শক্ত করবে।
মূলত প্রথমবারের মতো ২০১১ সালে ২৩১ মিলিয়ন ইউনিট iPhone 4 বিক্রি করে বাজারের শীর্ষস্থান অর্জন করেছিলো আ্যপল। যদিও তখন স্মার্টফোন র্যাংকিংয়ে আ্যপলের অবস্থান ছিলো ১৩ নাম্বারে। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে আ্যপলের জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতা ব্যাপক হরে বাড়তে থাকে, যার ফলাফল হিসেবে এখন আ্যপল বৈশ্বিক স্মার্টফোন মার্কেটের শীর্ষস্থান মজবুত করে নিয়েছে।
বন্ধুদের সাথে নিউজটি শেয়ার করতে ভুলবেন না। আমরা অনুপ্রাণিত হব 🙂
যেকোনো সমস্যা হলে গ্ৰুপে পোস্ট করলে অথবা পেজে মেসেজ দিলে সমাধান পেয়ে যাবেন 🔥🌺♥️🍀🌷
আমার সাথে যোগাযোগ করার জন্য,
Post a Comment