মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পর থেকে হুয়াওয়ের চাকা অনেকটাই ধীর হয়ে হয়েগিয়েছিল। একই সাথে বৈদেশিক বাণিজ্যের উপর অবরোধের পর থেকে হুয়াওয়ে আরো স্থবির হয়ে পরেছে। তবে নিজেদের সাপ্লাই চেইন সচল রাখতে হুয়াওয়ে এবার তাই দেশীয় বিনিয়োগের দিকে ঝুঁকছে। ২০১৯ সালের এপ্রিলে হুয়াওয়ের তৈরি ‘হাবো ইনভেস্টমেন্টস’ এখনো পর্যন্ত প্রায় ১৭ টি চুক্তি করেছে। এদের বেশিরভাগ চুক্তি চীনা বিভিন্ন স্টার্টআপ এর সাথে এবং বেশ কিছু স্বল্পপরিচিত কোম্পানির সাথে হয়েছে।
এদের মধ্যে রয়েছে ভার্টিলাইট, শোল্ডার ইলেকট্রনিকস। এছাড়া সম্প্রতি জানা গিয়েছে হুয়াওয়ের মালিকানাধীন এই কোম্পানিটি ‘ওপেন সোর্স চায়না’তেও বিনিয়োগ করেছে। এটি মূলত চীনা গিটহাব অল্টারনেটিভ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছে। জানা যায়, চুক্তিবদ্ধ বেশিরভাগ কোম্পানির এখন ৫-১০% মালিকানা এখন হুয়াওয়ে কিনে নিয়েছে।
এছাড়া স্ব-চালিত গাড়ি, নেটওয়ার্ক ইকুইপমেন্ট এবং চিপসেটের কাচামাল সংগ্রহের জন্যও বেশ কয়েকটি লোকাল প্রতিষ্ঠানের চুক্তি করেছে হুয়াওয়ে। ধারণা করা হচ্ছে, হুয়াওয়ের এসকল বিনিয়োগ মূলত মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পর স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য একটি পদক্ষেপ। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, হুয়াওয়ে হয়তো সাথে সাথে ঘুরে দাঁড়াতে পারবে না, তবে কিছুটা সময় নিয়ে হলেও আবার আগের অবস্থানে ফিরে আসবে হুয়াওয়ে।
হুয়াওয়ের এই ক্রান্তিকালে চীনা সরকারের অবদানকেও সহায়ক হিসেবে মনে করছেন অনেকেই। কেননা বরাবরই চীন সরকার সর্বদাই বৈশ্বিক বিকল্প হিসেবে নিজেদের আত্মনির্ভর করে যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রে হুয়াওয়ে ব্যান হওয়া গ্লোবাল মার্কেটে ধীরে ধীরে বাজার দখল হারালেও চীনে ঠিকই ডমিনেট করে যাচ্ছে হুয়াওয়ে। এমনকি বর্তমানে বৈশ্বিক বাজারের তুলনায় চীনের বাজারেই বেশি পণ্য বিক্রি হচ্ছে হুয়াওয়ের।
বন্ধুদের সাথে নিউজটি শেয়ার করতে ভুলবেন না। আমরা অনুপ্রাণিত হব
যেকোনো সমস্যা হলে গ্ৰুপে পোস্ট করলে অথবা পেজে মেসেজ দিলে সমাধান পেয়ে যাবেন 🔥🌺♥️🍀🌷
আমার সাথে যোগাযোগ করার জন্য,
Post a Comment