যুক্তরাষ্ট্রে-চীন বাণিজ্যিক যুদ্ধের কথা আমাদের আমাদের কারোই অজানা নয়। সাম্প্রতিক সময়ে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে চীনা প্রতিষ্ঠানগুলো যে কি পরিমান ঝুঁকির মুখে পড়েছে তা নিয়েও ওয়াকিবহাল বিশ্বের প্রায় সকল দেশ। ভবিষ্যৎ এই ঝুঁকির কথা বিবেচনায় এবার নিজেদের আরো স্বর্নির্ভর করার লক্ষ্যে গুগলের প্লে স্টোর এবং অ্যাপলের অ্যাপ স্টোরে বিকল্প হিসেবে মোবাইল অ্যাপ মার্কেটপ্লেস ও মোবাইল সেবা চালু করার পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে ভারত সরকার।
ভারত সরকার জানিয়েছে, বর্তমানে ভারতে অ্যান্ড্রয়েডের দখলে রয়েছে ৯৭% শতাংশ শেয়ার, তাই ডিজিটাল দুনিয়ায় নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করতে স্থানীয় নতুন স্টার্টআপগুলোর একত্রিত সহযোগিতায় নিজস্ব অ্যাপ স্টোর বানানোর উদ্যোগটি গ্রহন করেছে দেশটির সরকার। জানা যায়, গুগল প্লে স্টোরের প্রতিদ্বন্ধিতায় পরবর্তীতে ভারতে সকল অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনে তাদের নিজস্ব অ্যাপ স্টোরটি প্রি-ইনস্টলড রাখার পরিকল্পনা করছে সরকার। ভারত সরকারের মনে করে. বিদেশী প্রতিষ্ঠানগুলো একচেটিয়া রাজত্ব ভাঙ্গাতে হলে দেশীয় প্ল্যাটফর্মগুলোকে বড় পরিসরে সুযোগ দিতে হবে।
এদিকে রয়টার্সের লেটেস্ট রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশীয় স্টার্ট-আপগুলোর সমন্বয়ে শুধু গুগল প্লে স্টোরই নয়, সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ফেসবুকের বিকল্প আনার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছে ভারত সরকার। গুগল – ফেসবুকের মত প্রযুক্তি সংস্থাগুলির একাধিপত্যের বিরুদ্ধে কিভাবে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করা যায়, সেই বিষয়ে আলোচনা করতে সপ্তাহের শুরুতেই একটি ভার্চুয়াল কনফারেন্স করেছে এক ঝাঁক ভারতীয় স্টার্টআপ সংস্থা।
ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডে নিজেদের আত্মনির্ভর করে তুলতে বিশ্বের জনপ্রিয় এই সার্ভিসগুলোর বিকল্প তৈরী করতে ভারত সরকারকে পরামর্শ দিয়েছেন পেটিএম এর কো-ফাউন্ডার তথা সিইও বিজয় শেখর শর্মা। জানা যায় সম্প্রতি এ বিষয়ে একটি আলোচনা সভায় জয় শেখর শর্মার পাশাপাশি নেতৃত্ব দিয়েছেন পলিসিবাজারের কর্ণধার যশীষ দহিয়া এবং ম্যাট্রিমনি ডটকমের মুরুগাভেল জনাকিরামন। জুম মিটিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন ভারতের শীর্ষস্থানীয় আরও ৫৬টি অনলাইন প্লার্টফর্মের প্রতিষ্ঠাতারা।
বন্ধুদের সাথে নিউজটি শেয়ার করতে ভুলবেন না। আমরা অনুপ্রাণিত হব
যেকোনো সমস্যা হলে গ্ৰুপে পোস্ট করলে অথবা পেজে মেসেজ দিলে সমাধান পেয়ে যাবেন 🔥🌺♥️🍀🌷
আমার সাথে যোগাযোগ করার জন্য,
Post a Comment